আপনার ইন্টারভিউয়ারকে দেখানোর জন্য বা শো করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স হতে পারে Emotional Intelligence। সুতরাং বুঝতেই পারছেন Emotional Intelligence During Interview বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং শেখার মতো একটি সেক্টর।
Emotional Intelligence During Interview
Emotional Intelligence শুধুমাত্র আপনার আবেগ অনুভব করার এবং অন্যকে চিনতে পারার ক্ষমতাই প্রকাশ করবে না। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে চ্যানেলাইজড কি, কিভাবে কোনোকিছুর পরিচালনা করতে হয় এবং নিজেকে প্রমাণ করতে হয়।
এবার আসি Emotional Intelligence কিভাবে তৈরি করবেন বা ইন্টারভিউ বোর্ডে কিভাবে তা প্রেজেন্ট করবেন সে বিষয়ে। Emotional Intelligence During Interview এই ব্যাপারটি শতভাগ সফল করতে প্রয়োজন:
শোনা: Emotional Intelligence During Interview
মনোযোগ দিয়ে শোনা যেকোনো কনভারসেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদি আপনি ভালোভাবে শোনেন, আপনাকে যা বলা হচ্ছে তা বুঝতে পারেন, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিতে পারেন, টপিকগুলিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে পারেন তবেই আপনি তা সঠিকভাবে উত্তরে পরিণত করতে পারবেন।
মনে রাখবেন আপনি সঠিকভাবে শুনছেন তা বোঝানোর সবচেয়ে ইউনিক এবং কার্যকর উপায় হলো প্রশ্ন করা। ইউনিক বলছি এ কারণে যে অনেকেই পাল্টা প্রশ্ন করতে পারে না বা করতে ভয় পায়। যা আপনাকে ওভারকাম করতে হবে।
আপনি শোনার সময় চিন্তা করছেন এবং একটি সক্রিয় মানসিকতা নিয়ে প্রশ্নগুলিকে মাথায় গেঁথে নিচ্ছেন এমনটা দেখাতে পারলে ইন্টারভিউয়ার আপনার প্রতি পজেটিভ মানসিকতা তৈরি করতে বাধ্য হবে।
দলগত মানসিকতা: Emotional Intelligence During Interview
চাকরিজীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আপনার সহকর্মী এবং সিনিয়রদের সহযোগিতা। যা একদিকে আপনাকে উপকৃত করবে অন্যদিকে একই বিষয়টি আপনার বসকেও উপকৃত করবে। আর এই বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে ইন্টারভিউবোর্ডেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।
বলছিলাম দলগত মানসিকতার কথা। আপনার নিজের অনুভূতি, ইউনিট হিসাবে কাজ করার প্রতি আপনার আগ্রহ, যেকোনো অর্জনে ক্রেডিট ভাগ করতে গিয়ে আপনার কোনো সমস্যা থাকা ইত্যাদি বিষয় সরাসরি বা ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তুলে ধরতে পারেন।
ইগনোর: Emotional Intelligence During Interview
ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার নিজের Emotional Intelligence ধরে রাখতে এবং তা সঠিকভাবে প্রেজেন্ট করতে বেশকিছু বিষয় আপনাকে ইগনোর করতে হবে।
আপনি যদি পূর্বের কোনো জবে একজন খারাপ ম্যানেজার, একজন ভয়ানক ক্লায়েন্ট, আপনার প্রতি করা অন্যায় পর্যালোচনা, একজন নির্বোধ সহকর্মী ইত্যাদির মুখোমুখি হোন তা ইন্টারভিউ বোর্ডে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
নিজের কাজের এবং চাকুরিজীবনের অভিজ্ঞতাকে পরিপক্কভাবে পরিচালনা করতে এই বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা বেশ জরুরি। কারণ এসব বিষয় শেয়ার করা মানেই নিজের প্রফেশনাল টোনকে নষ্ট করে দেওয়া।
অভিব্যক্তি প্রকাশ: Emotional Intelligence During Interview
অনেকেই আবেগ প্রকাশ করতে ভালোবাসে। আবার অনেকেই তা পারে না। তবে ইন্টারভিউ বোর্ডে খানিকটা আবেগ প্রকাশ করা উচিত। কারণ রোবটিক আলোচনা কেউই খুব একটা পছন্দ করে না।
ইন্টারভিউ বোর্ডে অভিব্যক্তি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে টপিক অনুযায়ী খানিকটা হাসতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার আবেগ জোরপূর্বকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। বরং আপনি তা ভেতর থেকেই প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি একই সময়ে, ইতিবাচক হওয়ার চেষ্টাও করতে হবে।
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ: Emotional Intelligence During Interview
ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার ব্যক্তিত্ব আপনার আবেগের সাথে মিল রেখেই তা আপনাকে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি ছোট ছোট বডি ল্যাঙ্গুয়েজগুলির ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যেমন হ্যান্ডশেক করা, দেরিতে ইন্টারভিউ বোর্ডে না পৌঁছানো এবং আই কন্টাক্ট বজায় রাখা।
বাস্তবতা: Emotional Intelligence During Interview
ফেইক কোনো বিষয় কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনবে না। যেহেতু চাকরি পেলে আপনাকে অনেক বছর একসাথে কাজ করতে হবে সেহেতু নিজের সম্পর্কে ফেইক তথ্য দিলে তা পরবর্তীতে ধরা পড়ে যাবে। সুতরাং শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
আপনি কী করতে পারেন এবং আপনি কী করতে পারেন না তা শুরু থেকেই প্রসঙ্গ উঠলে ক্লিয়ার করে নিতে হবে। ইন্টারভিউর সমস্ত দিককে সততার সাথে পরিচালনা করতে হবে। নিজেকে সনাক্ত করা এবং গ্রহণ করার ব্যাপারে শতভাগ সচেষ্ট হতে হবে।
ইতি কথা
Emotional Intelligence During Interview টিপস হিসাবে আশা করি উপরোক্ত টিপসগুলি যথেষ্ট উপকৃত করবে। মনে রাখবেন ইন্টারভিউ বোর্ডকে যতটা কঠিন ভাববেন ঠিক ততটাই কঠিনতর মনে হবে।
সুতরাং নিজের Emotional Intelligence ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিষয়টিকে আরো সহজ করে তুলুন। আর হ্যাঁ যেকোনো ধরণের সিভি ফরম্যাট কিংবা ক্যারিয়ার গাইডলাইন পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।